“দেশ ও গণতন্ত্র রক্ষায় ধানের শীষ অপরিহার্য”—মোল্লাহাটে প্রচারণায় অ্যাডভোকেট ওয়াহিদুজ্জামান দিপু

Image

বাগেরহাট-১ আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী এবং দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপুর পক্ষে মোল্লাহাটে ব্যাপক গণসংযোগ ও প্রচারণা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঐতিহ্যবাহী গাড়ফার হাট এলাকাজুড়ে কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে এই কর্মসূচি, যেখানে তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা প্রতিশ্রুতির হ্যান্ডবিলও বিতরণ করা হয়।

পথসভায় অ্যাডভোকেট শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপুর বক্তব্য

সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত পথসভায় প্রধান বক্তা হিসেবে অ্যাডভোকেট দিপু বলেন, “দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে ধানের শীষের বিকল্প নেই। দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে আহ্বান জানাই—আসন্ন নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিএনপিকে জয়ী করুন। তবেই দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা পাবে।”

হাটে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মতবিনিময়

প্রচারণাকালে তিনি হাটে আগত ক্রেতা-বিক্রেতা ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন, তাদের খোঁজখবর নেন এবং নির্বাচনে সমর্থন চান। স্থানীয়রা জানান, দিপুর বিনয়ী আচরণ, হাসিমুখ ও মনোযোগ দিয়ে কথা শোনার ক্ষমতা মানুষকে তার প্রতি আকৃষ্ট করছে। এক প্রবীণ বলেন, “উনি খুব ধৈর্য নিয়ে মানুষের কথা শোনেন—এটা আমাদের ভালো লেগেছে।”

৩১ দফা প্রতিশ্রুতির হ্যান্ডবিল বিতরণ

নেতাকর্মীরা হাটের বিভিন্ন দোকান, প্রবেশপথ ও পথচারীদের হাতে ৩১ দফা অঙ্গীকারনামা সম্বলিত হ্যান্ডবিল বিতরণ করেন। এতে স্থানীয় উন্নয়ন, স্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষার মানোন্নয়ন, কৃষি সহায়তা, সুশাসন, জলাবদ্ধতা নিরসন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দুর্নীতি প্রতিরোধসহ নানা প্রতিশ্রুতি তুলে ধরা হয়।
স্থানীয়দের মতে, দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধানে এসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হলে এলাকায় বড় পরিবর্তন আসবে।

নেতাকর্মীদের উদ্দীপনা

প্রচারণায় অংশ নেওয়া বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বলেন, অ্যাডভোকেট দিপুর দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, জনপ্রিয়তা এবং জনসম্পৃক্ত কাজ তাকে মনোনয়নের দৌড়ে এগিয়ে রাখবে। তাদের বিশ্বাস—তিনি নির্বাচিত হলে এলাকার উন্নয়ন আরও গতিশীল হবে।

হাটজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ

গাড়ফার হাটে প্রচারণা ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ লক্ষ্য করা যায়। মানুষ নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন, আগ্রহ নিয়ে হ্যান্ডবিল নেন এবং ৩১ দফা প্রতিশ্রুতি নিয়ে আলোচনা করেন। হাটজুড়ে প্রচারণাই ছিল দিনের প্রধান আলোচ্য বিষয়।

নেতাকর্মীদের মতে, নিয়মিত গণসংযোগ, মানুষের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় এবং এলাকার উন্নয়ন নিয়ে স্পষ্ট পরিকল্পনা—এসবই অ্যাডভোকেট দিপুর জনপ্রিয়তাকে আরও বাড়িয়ে দেবে এবং দলীয় মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *