টাঙ্গাইলের মাহমুদ নগর ইউনিয়নের সারুটিয়া পূর্ব পাড়ায় ধানক্ষেতে গিয়ে প্রান্তিক কৃষকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। বুধবার দুপুরে মাঠ পরিদর্শনের সময় তিনি কৃষকদের উৎপাদন ব্যয়, সার–বীজের দাম, সেচ সমস্যা, শ্রমিক সংকটসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মনোযোগ দিয়ে শোনেন।
কৃষকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় টুকু বলেন, দেশের সর্বত্রই প্রান্তিক কৃষকের সমস্যা প্রায় একই রকম। উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় ন্যায্য দাম না পেলে কৃষকরা প্রতিনিয়ত ক্ষতির মুখে পড়ছেন। তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতির ভিত্তি কৃষি—তাই কৃষকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা জরুরি। স্থানীয় কৃষকরা জানান, সার–বীজের উচ্চমূল্য ও শ্রমিক সংকটের কারণে তাদের ব্যয় আগের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে।
এ সময় সুলতান সালাউদ্দিন টুকু কৃষকদের সামনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফার কৃষি–সংক্রান্ত অঙ্গীকার তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কৃষিতে ভর্তুকি বাড়ানো, ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা, সেচ–ব্যবস্থার উন্নয়ন, কৃষিযন্ত্র কেনায় সহায়তা এবং বাজার–ব্যবস্থাপনায় সংস্কারসহ দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি রয়েছে।
টুকু বলেন, কৃষকের লাভ না হলে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। “কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে”—এই নীতিকে সামনে রেখে মাঠপর্যায়ের সমস্যাগুলো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রতিফলিত হওয়া উচিত। তিনি আশ্বাস দেন, কৃষকদের অভিজ্ঞতা ও দাবি দলীয় নীতিনির্ধারকদের কাছে তুলে ধরা হবে।
কৃষকরা জানান, নানামুখী ব্যয়ের চাপের কারণে ধান উৎপাদন দিন দিন কঠিন হয়ে উঠছে; তাদের দাবি—মাঠের বাস্তবতা বিবেচনায় রাখা হোক জাতীয় কৃষি–নীতিতে।
দিনশেষে টুকু বলেন, কৃষি–সংকট সমাধানে মাঠপর্যায়ের মানুষের কথা শোনা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কৃষকদের মতামত সরাসরি জানার সুযোগ পাওয়ায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং আশা করেন, এসব দাবি ভবিষ্যতের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ও আলোচনায় জায়গা পাবে।
