যুক্তরাষ্ট্রে ১৬ মন্ত্রী, আমাদের ৬০ জন লাগবে কেন: ফুয়াদ

এবি (আমার বাংলাদেশ) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বাংলাদেশে সরকার ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের মতো ছোট দেশে এত মন্ত্রীর দরকার নেই। এদেশ কী আমেরিকার থেকে বড়লোক হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রে মন্ত্রী হলো ১৬-১৭জন, এখানে এতো মন্ত্রী লাগবে কেন? সম্প্রতি এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, এত প্রবৃদ্ধি- এমপ্লয়মেন্ট নাই কেন? ৪০ লাখের বেশি শিক্ষিত গ্রাজুয়েট ছেলেমেয়েরা কেন বেকার? তাহলে বোঝা যাচ্ছে আপনার স্ট্যাক ফ্যাশন চলছে। আপনি শুধু দেখাচ্ছেন কৃত্রিমভাবে আপনার ইকোনমি বড় হচ্ছে। কিন্তু প্রবৃদ্ধি নাই, চাকরি নাই, কর্মসংস্থান হচ্ছে না এবং জেনুইন কোনো ডেভেলপমেন্ট আমরা দেখতে পাচ্ছি না। বরং দেখতে পাচ্ছি ১৬ থেকে ২৫ বিলিয়ন ডলার প্রতিবছর পাচার হচ্ছে ও বাইরে চলে যাচ্ছে। তাই দুইটা সামারি এবি পার্টির পক্ষ থেকে— একটা হচ্ছে সিঙ্গেল ট্যাক্সে আসতে হবে; গ্রাজুয়ালি ভ্যাট বিলুপ্ত করে দিতে হবে, সব ট্যাক্স বিলুপ্ত করে দেন। দ্বিতীয়ত— হচ্ছে অস্টারিটি মেজারে আসেন। 

তিনি বলেন, আমাদের ৬০টা মন্ত্রী, যুক্তরাষ্ট্রে মন্ত্রী হলেন ১৬-১৭জন। আপনি কি আমেরিকার থেকে বড়লোক দেশ হয়ে গেছেন, আপনার এত মন্ত্রী লাগবে কেন, এত সচিবালয় লাগবে কেন, এক সচিবালয়ে চারটা অধিদপ্তর আছে, কেন চারটা অধিদপ্তর লাগবে- তাহলে আবার মন্ত্রণালয় কেন দরকার। আপনি একই কাজ চারটা ডিপার্টমেন্টকে দিয়ে করাচ্ছেন। জাপান হচ্ছে ফোর্থ লার্জেস্ট ইকোনমি- তার মন্ত্রী হচ্ছে ১১টা। আপনার কেন ৬০টা মন্ত্রণালয় লাগবে?

এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, আপনার অধিদপ্তর, তারপরে অটোনমাস বডি মিলিয়ে রাষ্ট্রের প্রায় ৮০-৮৫টা সংগঠন আছে- এত বড় সরকার তো আমার দরকার নাই। বাংলাদেশের মত অর্থনীতিতে আমার এর এক দশমাংশ ওয়ার্ক ফোর্স দিয়ে এই রাষ্ট্র চালানো সম্ভব এবং এটাই হচ্ছে ডিজিটাল বাটপারি- যেটা আওয়ামী লীগ করে দিয়ে গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *