জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ ইউক্রেনের জন্য ৬৮ কোটি ৫ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের নতুন সামরিক সহায়তা প্যাকেজের ঘোষণা দিয়েছেন। সোমবার (২ ডিসেম্বর) কিয়েভে পৌঁছে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় ইউরোপীয় সমর্থক হিসেবে বার্লিন তার অবস্থান বজায় রাখবে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
এদিকে,সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শলৎজ লিখেছেন, জার্মানি ইউরোপে ইউক্রেনের সবচেয়ে শক্তিশালী সমর্থক হিসেবে থাকবে। জেলেনস্কির কাছে তিনি এই মাসের মধ্যেই নতুন সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দেবেন।
২০২২ সালে রুশ আগ্রাসন শুরুর প্রথম দিকের পর এবারই প্রথম কিয়েভ সফর করলেন শলৎজ। এই সফর এমন এক সময়ে হলো, যখন নিজের ক্ষ্মতাসীন জোট ভেঙে গেছে ও ফেব্রুয়ারিতে হাড্ডাহাড্ডি নির্বাচনী লড়াইয়ে নামার সম্ভাবনা রয়েছে।
ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও রুশ সেনাদের দ্রুত অগ্রগতি ইউক্রেনের উদ্বেগ বাড়িয়ে চলেছে। পাশাপাশি ট্রাম্প মার্কিন সহায়তা কমিয়ে দিলে ইউক্রেনের জন্য ইউরোপীয় মিত্ররা ঠিক কতটা সহায়তা ধরে রাখতে পারবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
শলৎজ ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একটি অজ্ঞাত স্থানে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে তারা ইউক্রেন ও জার্মান কোম্পানি নির্মিত সামরিক ড্রোন পর্যালোচনা করেন। এছাড়া তারা একটি হাসপাতাল পরিদর্শন করে যুদ্ধে আহতদের সঙ্গে কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পর ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ হিসেবে নিজেকে তুলে ধরলেও, শলৎজ বারবার ইউক্রেনে টরাস ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি আশঙ্কা করছেন, এ ধরনের পদক্ষেপ জার্মানিকে সরাসরি রাশিয়ার সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে ফেলতে পারে।
এদিকে, গত নভেম্বরে প্রায় দুই বছর পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ করায় জেলেনস্কির সমালোচনার মুখে পড়েন শলৎজ।
নতুন প্যাকেজে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, লিওপার্ড ওয়ান ট্যাংক ও ড্রোন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বলে জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন।
এরমধ্যে, রবিবার ইউরোপীয় কাউন্সিলের নতুন সভাপতি অ্যান্তোনিও কস্তা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি প্রধান কায়া কাল্লাস তাদের প্রথম কার্যদিবসে কিয়েভ সফর করেছেন, যা তাদের সমর্থন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
