বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, শুধু বিএনপি নয়, দেশের বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলই চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন দেখতে চায়।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
সালাহউদ্দিন বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা জাপানে দেওয়া এক বক্তব্যে বলেছেন, একটি মাত্র দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায়। আমি স্পষ্ট করে বলছি—এটা সঠিক নয়। অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন চায়। তবে এর জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার এখনই করতে হবে।”
তিনি অভিযোগ করেন, “প্রধান উপদেষ্টার পরামর্শক পরিষদ নিরপেক্ষ নয়। সেখানে কয়েকজন ছাত্র উপদেষ্টা আছেন, যাদের পরিচিতি একদলীয় মনোভাবসম্পন্ন হিসেবে। একজন উপদেষ্টা আছেন, যিনি গত ২০ বছর বিদেশে কাটিয়েছেন। এখন হঠাৎ করেই তিনি বাংলাদেশের ‘উদ্ধারকর্তা’ হয়ে এসেছেন। তার বিতর্কিত ভূমিকার কারণে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। আমরা জানি না, তিনি কী পরিকল্পনা নিয়ে এসেছেন।”
তিনি আরও বলেন, “উপদেষ্টা পরিষদে আরও কয়েকজন আছেন, যাদের কর্মকাণ্ড স্বৈরাচারী রাজনীতির অনুগত বলেই পরিচিত। এই ধরনের উপদেষ্টাদের দিয়ে গণতান্ত্রিক সংস্কার সম্ভব নয়।”
জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে সংস্কার সম্ভব বলে মত দেন সালাহউদ্দিন। তার ভাষায়, “যদি রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকে, তবে এক সপ্তাহ থেকে এক মাসের মধ্যেই প্রয়োজনীয় সংস্কার করা সম্ভব। যদি প্রধান উপদেষ্টা তা করতে না পারেন, তাহলে আমাদের বলুন—আমরাই করে দেবো।”
ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের সামনে যে গণতান্ত্রিক পথচলা, তার রূপরেখা ইতোমধ্যে তারেক রহমান নির্ধারণ করে দিয়েছেন। স্বাস্থ্য কার্ড, খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত করতে রেশনভিত্তিক ফ্যামিলি কার্ড, মেধাবীদের জন্য শিক্ষা সুবিধা, কৃষকদের উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ—এইসব কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “তবে এই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন সম্ভব হবে কেবলমাত্র একটি নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারের অধীনে। এজন্য প্রয়োজন শক্তিশালী সাংবিধানিক কাঠামো, যেখানে প্রতিষ্ঠানগুলো গণতন্ত্রের রক্ষাকবজ হিসেবে কাজ করবে। এমন একটি ভিত্তির উপর দাঁড়িয়েই গড়ে উঠবে আগামীর বাংলাদেশ।”
