বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জোরালো দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গণতন্ত্র এবং জনগণের রায় বাস্তবায়নের জন্য একটি নিরপেক্ষ ও জবাবদিহিমূলক নির্বাচিত সরকার অপরিহার্য।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তিন সহযোগী সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘তারুণ্যের সমাবেশ’-এ ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ বক্তব্য দেন।
তারেক রহমান অভিযোগ করেন, নির্বাচন নিয়ে ইতোমধ্যে ‘টালবাহানা’ শুরু হয়েছে এবং এটি পরিকল্পিতভাবে সময়ক্ষেপণের অংশ। তিনি বলেন, “কথিত কিছু সংস্কারের আড়ালে নির্বাচন প্রশ্নে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে। এ পরিস্থিতিতে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।”
তিনি বলেন, “একটি কার্যকর সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচনের বিকল্প নেই। যেকোনো দলই তাদের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে চায়, সেটি সম্ভব কেবল একটি নির্বাচিত, জবাবদিহিমূলক সরকারের মাধ্যমেই। ডিসেম্বরের মধ্যেই সেই নির্বাচন হতে হবে—এ দাবিতে আমরা অটল।”
দেশের তরুণদের উদ্দেশ্যে তারেক রহমান বলেন, “ভোটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে, কে হবে জনগণের প্রতিনিধি। এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করুন। জাতীয় নির্বাচনই সেই সুযোগ।”
তিনি দেশপ্রেম এবং জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং দলীয় নেতাকর্মীদের সেই চেতনায় উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “প্রিয় দেশবাসী, প্রিয় সমাবেশ, প্রিয় ভাই-বোনেরা, এবার আমি আপনাদের সামনে একটি ছোট্ট স্লোগান তুলে ধরতে চাই। মন দিয়ে দয়া করে সবাই শুনবেন। প্রথমে আমি স্লোগানটি বলব, মন দিয়ে শুনবেন। এরপর দ্বিতীয়বার আবার বলব, তখন আপনারা সকলে আমার সঙ্গে একসঙ্গে বলবেন।” এরপর তিনি উচ্চারণ করেন, “দিল্লি নয়, পিণ্ডি নয়, নয় অন্যকোনো দেশ—সবার আগে বাংলাদেশ।”
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, সালাহউদ্দিন আহমেদসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন যুবদল সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না।
বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, “আপনারা জনগণের কাছে যান। তাদের প্রত্যাশা জানুন, তাদের মন জয় করুন। মনে রাখবেন, জনগণই বিএনপির শক্তির উৎস।”
