রাজধানীর ওয়ারীর কাপ্তানবাজারে নাটোর বনজ স্টোরে পূর্ব শত্রুতার জেরে আল আমিন (২৭) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় নিহত আল আমিনের ছোট ভাই সুমন ও বিজয় গুরুতর আহত হয়েছে।
আল আমিন নাটোর সদরের লক্ষীপুর খোলাবাড়িয়া ঔষধি গ্রামের আব্দুল মান্নান ছেলে। বর্তমানে ডেমরা কনানাপাড়া এলাকায় ভাড়া থাকতো ।
বুধবার(৪ ডিসেম্বর) বিকাল ৪ টার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ(ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে
জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক আলামিনকে মৃত ঘোষণা করেন।
আহত সুমন জানান, আমাদের গুলিস্তানের পাশে কাপ্তান বাজারে “নাটোর বনজ স্টোর” নামে একটি শরবতের দোকান আছে। সাত-আট মাস আগে আমার দোকানের সামনে একজন মোটরসাইকেল রেখেছিলেন।তাকে আমি বলেছিলাম ভাই আমার দোকানের সামনে রাইখেন না, একটু সাইড করে রাখেন। এই নিয়ে তখন তার সাথে আমার বাগ বিতন্ডা হয়। আমি ওই লোকটার নামও জানিনা।আজকে প্রথমে সোহান নামে একজনকে নিয়ে সাত আট জন প্রথম আমার দোকানে আসে এবং প্রথমে দোকান ভাঙচুর চালায়। পরে আমার ছোট ভাই বাধা দিলে ৩০ থেকে ৪০ জন এসে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে এবং রড দিয়ে পেটানো শুরু করে। এতে আমার ভাই গুরুতর আহত হয় এবং আমি ও আমার আরও এক ছোট ভাই সেও গুরুতর আহত হয়। আমার মাকেও মারপিট করে। তারা স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। সবাইকে ফেস দেখলে চিনি কিন্তু নাম বলতে পারছি না। পরে হাসপাতালে নিয়ে আসলে আমার ভাইকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো ফারুক বলেন, কাপ্তান বাজার এলাকা থেকে আহত অবস্থায় তিন ভাইকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়েছিল। আনার পরে আল আমিন নামে এক যুবক মারা যায়। নিহত ও যুবকের মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্যে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।
