ভারতের আশ্রয়ে থেকে হাসিনা কীভাবে বিবৃতি দিতে পারেন?

ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একের পর এক বিবৃতি দেওয়া নিয়ে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। ভারতের সংবাদমাধ্যম নিউজ টাইম-এর বর্ষীয়ান সাংবাদিক দীনেশ কে ভোরা প্রশ্ন তুলেছেন, আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী অন্য দেশে আশ্রয়ে থাকা কোনো ব্যক্তি কীভাবে এ ধরনের মন্তব্য করতে পারেন?

ভোরা বলেছেন, শেখ হাসিনা আসলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের শিখিয়ে দেওয়া বক্তব্য তুলে ধরছেন। তিনি এটিকে ভারতের আত্মঘাতী কৌশল হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, এর ফলে দুই দেশের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

এর আগে নেপালের সঙ্গে এমন কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ করেছিল ভারত। নেপালের সংবিধানে নাক গলানোর পরিপ্রেক্ষিতে দুই দেশের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। ভোরা মনে করেন, বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে একই ধরনের ভুল করছে মোদি সরকার।

এদিকে বাংলাদেশের ইস্কন মন্দিরের এক মুখপাত্র সম্প্রতি বলেছেন, গ্রেফতার হওয়া চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী তাদের সদস্য নন। বিষয়টি নিয়েও বিতর্ক চলছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, শেখ হাসিনা এবং ভারত সরকারের বর্তমান ভূমিকা দুই দেশের সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। সাংবাদিক ভোরা মনে করেন, ভারত যদি এমন কূটনৈতিক কৌশল অব্যাহত রাখে, তবে মালদ্বীপ, নেপাল এবং ভুটানের মতো বাংলাদেশও দূরত্ব বজায় রাখতে বাধ্য হবে।

ভারতে আশ্রয় নিয়ে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারে চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *