শ্বেতপত্রে চাঞ্চল্যকর তথ্য: মন্দ ঋণে তৈরি হতে পারত ২৪টি পদ্মা সেতু

ঢাকা: বাংলাদেশে ব্যাংক খাতে মন্দ ঋণের পরিমাণ এতটাই বেড়েছে যে, এর প্রকৃত মূল্যে ২৪টি পদ্মা সেতু নির্মাণ করা সম্ভব হতো। এই তথ্য উঠে এসেছে অর্থনীতিতে অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তে গঠিত শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রতিবেদনে।

রবিবার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হয়। কমিটির প্রধান বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে এই প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক প্রভাব এবং অনিয়মের ফলে ব্যাংক খাত গভীর সংকটে পড়েছে। উল্লেখ করা হয়, বিগত সরকারের সময়ে ঋণ কেলেঙ্কারি, অর্থপাচার, এবং রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাংকের মালিকানা পরিবর্তন ব্যাংক খাতের স্থিতিশীলতাকে ধ্বংস করেছে।

শ্বেতপত্রে আরও জানানো হয়েছে, বিপর্যস্ত ঋণের পরিমাণ দিয়ে ১৪টি মেট্রো সিস্টেম অথবা ২৪টি পদ্মা সেতু নির্মাণ করা যেত। এছাড়া রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাঠানো অর্থ ঢাকা মেট্রোরেল লাইন-৬ নির্মাণ ব্যয়ের চারগুণ।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, দেশের খেলাপি ঋণের পরিমাণ আগামী দিনে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। বর্তমানে এটি ১২.৫ শতাংশ হলেও আগামী মাসগুলোতে এটি আরও বাড়বে।

তিনি আরও বলেন, বড় ব্যবসায়ী গ্রুপ এবং ব্যক্তিদের নামে নেওয়া বিপুল পরিমাণ ঋণই মূলত খেলাপির তালিকায় রয়েছে। ২০১৭ সালের পর নেওয়া এসব ঋণ বিদেশে পাচার করা হয়েছে।

প্রতিবেদন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন সাথী, এবং অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *