ভারতের আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাতে নগরের ষোলশহর রেলওয়ে স্টেশনে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রাসেল আহমেদ বলেন, ‘মমতা ব্যানার্জি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা রক্ষায় জাতিসংঘের ‘শান্তিরক্ষী মিশন’’র সদস্য নিয়োজিত করার পরামর্শ দিয়েছেন। অথচ নিজ দেশ ভারতে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় ব্যর্থ হয়েছে ভারত সরকার। আগরতলায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনে হামলা করা হয়েছে। এটি কূটনৈতিক সম্পর্ক অবনতির নিকৃষ্ট উদাহরণ।’
রাসেল আহমেদ বলেন, ‘শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরে যে সহিংসতা চলেছিল, তার মধ্যেই বহু ভুয়া পোস্ট ভারতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। যেখানে দাবি করা হয়, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার শুরু হয়েছে। অথচ বিবিসির তথ্য যাচাই বিভাগ ‘‘বিবিসি ভেরিফাই’’ ও ‘‘গ্লোবাল ডিসইনফরমেশন’’ টিম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া পোস্টের অনেকগুলো যাচাই করে দেখেছে- এগুলো গুজবও ছড়ানো হয়েছে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, ‘সনাতনীদের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের কূটচাল চালছে ভারত। চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার রেশ কাটতে না কাটতেই ভারতে বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনে হামলা করা করা হয়েছে। বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা যেভাবে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারকে প্রতিহত করেছে তেমনিভাবে ভারতের সব ধরনের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হবে।’
সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।