গত ১৬/১১/২০২৪ খ্রিঃ তারিখ রাত অনুমান ০৯.৩০ ঘটিকায় পটিয়া থানাধীন পূর্ব হাইদগাঁও গ্রামে আসামী জালাল উদ্দীন তার পাওনা ২,৫০০/- টাকা আপন ভাতিজা ভিকটিম রাশেদ এর নিকট চাইলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও তর্কাতর্কি শুরু হয়। তর্কাতর্কির একপর্যায়ে কাছাকাছি সময়ে আসামীর হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে ভিকটিমের গলার দুই পাশে পোচ মারিলে ভিকটিম সাথে সাথে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। ঘটনার পর আসামী পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে উপস্থিত স্থানীয় লোকজন ও ভিকটিমের আত্মীয় স্বজন ভিকটিমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পটিয়া, চট্টগ্রামে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার ভিকটিমকে মৃত বলিয়া ঘোষনা করে।
উক্ত ঘটনার বিষয় উল্লেখ করে ভিকটিমের স্ত্রী তাসনিম আক্তার পটিয়া থানায় অভিযুক্ত জালাল উদ্দিন এর বিরুদ্ধে পটিয়া (চট্টগ্রাম) থানার মামলা নং- ১৪, তারিখ- ১৭/১১/২০২৪ খ্রিঃ, ধারা- ৩০২ পেনাল কোড দায়ের করেন।
অতিরিক্ত আইজিপি, সিআইডি মহোদয়ের নির্দেশনাক্রমে ঘটনার বিষয়ে সংবাদ প্রাপ্ত হওয়ার পর সিআইডি ছায়াতদন্ত শুরু করে। তৎপ্রেক্ষিতে সিআইডি, চট্টগ্রাম মেট্রো ও জেলা পুলিশ চট্টগ্রাম মহানগরীসহ ঘটনাস্থল ও আশপাশ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করিয়া বিশেষ কৌশলে আসামী জালাল উদ্দিনকে চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানাধীন খাজা রোড এলাকা হতে গতকাল ২২/১১/২০২৪ খ্রিঃ তারিখ রাত ০৯.৩০ ঘটিকার সময় গ্রেফতার করে।
পরবর্তীতে গ্রেফতার আসামীকে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আসামী জালাল উদ্দীন জানায়, তার ব্যবহৃত কম্বল আনতে গেলে ভিকটিম রাশেদ বাধা দেয় এবং কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে আসামী ধারালো ছুরি দিয়ে ভিকটিম রাশেদের গলায় পোচ মেরে হত্যা করার কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করে।