জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বিভিন্ন ইস্যুতে আওয়ামী লীগ সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি গত ১৫ বছরের শাসনামলে সঠিক ইতিহাস বিকৃত করার অভিযোগ করেন। তাঁর বক্তব্যের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো নিচে তুলে ধরা হলো:
স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ
মির্জা আব্বাস বলেন, “গত ১৫ বছরে সঠিক ইতিহাস ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছে আওয়ামী লীগ।”
তিনি দাবি করেন, “আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করেনি, বরং ভারত থেকে এসে স্বাধীনতার গল্প শুনেছে। তাই তারা ইতিহাস বিকৃত করেছে।”
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রসঙ্গ
“২১ আগস্টের ঘটনায় বিএনপি কোনোভাবেই জড়িত ছিল না,” উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, “বিদেশি শক্তির দ্বারা এই হামলা চালানো হয়েছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, “তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।”
ন্যায়বিচারের প্রত্যাশা করে তিনি বলেন, “সকল মিথ্যা মামলা থেকে বিএনপি খালাস পাবে।”
বর্তমান সরকারের ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ
মির্জা আব্বাস দাবি করেন, “বর্তমান সরকারকে বিব্রত করতে একটি অশুভ ষড়যন্ত্র চলছে।”
তিনি বলেন, “বিএনপি আশা করছে যে বর্তমান সরকারের হাত ধরেই দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে।”
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “অনেকে তাকে ভুল পথে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও বিএনপি সরকারকে সঠিক পথে রাখার চেষ্টা করছে।”
ভারতের হস্তক্ষেপ ও সার্বভৌমত্বের প্রসঙ্গ
মির্জা আব্বাস বলেন, “বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের দিকে চোখ তুলে তাকিয়েছে ভারত।”
“যেসব ব্যবসায়ীরা শেখ হাসিনার সাথে থাকতে চেয়েছেন, তাদের হাতে দেশ নিরাপদ নয়,” উল্লেখ করে তিনি দেশের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন।
আওয়ামী লীগ-বিএনপি সম্পর্কের মূল্যায়ন
“স্বাভাবিকভাবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ছাড়লে দেশের অবস্থা আজ এমন হতো না,” মন্তব্য করে তিনি বলেন, “বিএনপি ও আওয়ামী লীগ এক সঙ্গে যেতে পারে না।”
তিনি আরও বলেন, “দেশে ও বিদেশে অনেকে বিএনপিকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ট্যাগ দেয়ার চেষ্টা করছে।”
এই আলোচনায় মির্জা আব্বাস ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস রক্ষার আহ্বান জানান।
